সুবিধাবাদী রাজনীতি করলে শেখ হাসিনার কেবিনেটে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ছিল: নুর

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২২ আগস্ট ২০২৫, ১৭:০২
শেয়ার :
সুবিধাবাদী রাজনীতি করলে শেখ হাসিনার কেবিনেটে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ছিল: নুর

সুবিধাবাদী রাজনীতি করলে শেখ হাসিনার কেবিনেটে সবচেয়ে ভালো মন্ত্রী ও শতকোটি টাকার মালিক হওয়ার সুযোগ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড়ে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এক কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমাদের সুযোগ ছিল, আমরা যদি সুবিধাবাদী রাজনীতি করতাম শেখ হাসিনার কেবিনেটে সবচেয়ে ভালো মন্ত্রী হতাম, শত সহস্র কোটি টাকার মালিক থাকলাম। আমরা সেটার সঙ্গে আপোষ করি নাই। আমরা মুখে যেটা বলেছি অন্তরে সেটা ধারণ করেছি। আমরা বলেছি রাজনীতিকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, রাজনীতিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে, তাই আপনাদেরকেও জনগণের প্রতিনিধিদেরকে নেতা বানাতে হবে।’

নুর আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য পুরানো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে হবে। এই ভাবে আমাদের নতুন বন্দোবস্তের দিকে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘ইতিহাস ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই গোপালগঞ্জ। আমাদের বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত প্রাণ পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে, সাংবাদিক ও বামপন্থী রাজনৈতিক নেতা নির্মল সেন, ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার, মতুয়া সম্প্রদায়ের হরি চাঁদ ঠাকুর, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের রকিবুল হাসান, সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত থেকে শুরু করে অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি এই মধুমতীর তীর বিধৌত গোপালগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেছে। সুতরাং গোপালগঞ্জের সব মানুষ খারাপ না। তাই প্রশাসনের ভাইদের বলবো সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে মামলা দিয়ে কোন জুলুম তাদের সাথে করবেন না।’

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপি এসে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে গোপালগঞ্জকে অপমান করেছে। গোপালগঞ্জে প্রায় ১৮ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এই ১৮ হাজার পরিবারের দায়িত্ব এখন কে নেবে? আমরা হিংসাত্মক রাজনীতি করতে আসেনি। আমরা গোপালগঞ্জে এসেছি গোপালগঞ্জ বাসির সুখ-দুঃখের ভাগ নেওয়ার জন্য।’

গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগীয় গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. ফিরোজুর রহমান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ইব্রাহিম, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ মোজাহিদ, মুকসুদপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলিসহ আরও অনেকে।