৯৯৯-এ কল দিয়ে রক্ষা পেলেন স্ত্রী, সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার জাহান সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
এর আগে স্বামীর মারধর থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা নিয়েছেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার মদন উপজেলার কুলিয়াটি মাইঝপাড়া গ্রাম থেকে সাবেক কাউন্সিলর সৈকতকে গ্রেপ্তার করেন থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সৈকত দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। সর্বশেষ গত ১১ আগস্ট প্রিয়াঙ্কাকে মারধর করে রক্তাক্ত, জখম করেন। এতে তার ডান চোখটি গুরুতর জখম হয়। পরে স্বামীর মারধর থেকে বাঁচার জন্য প্রিয়াঙ্কা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
এ ঘটনার দুই দিন পরে গত ১৩ আগস্ট প্রিংয়াকার বড়ভাই জাহাঙ্গীর চৌধুরী মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভগ্নিপতি সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত দেবাংশু কুমার দে বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে তার স্বামী দেলোয়ার জাহান সৈকত মারধর করে গুরুতর জখম করেন। একপর্যায়ে স্বামীর মারধর থেকে বাঁচার জন্য ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর ভাই জাহাঙ্গীর চৌধুরী বাদী হয়ে দেলোয়ার জাহান সৈকতের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দেলোয়ার জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আসামিকে নেত্রকোনার কোর্ট হাজতে পাঠানো করা হয়েছে।’
