তাকে কখনও নায়ক ভাবতে পারিনি: রোজিনা
সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারতেন, এটা ছিল রাজ্জাক ভাইয়ের সবচেয়ে বড় গুণ। কখন কোন চরিত্রে তাকে মানাবে, সেটা ভালো করেই বুঝতেন। এ কারণেই তিনি নায়করাজ। তবে একটা কথা বলতে চাই, তাকে কখনও নায়ক ভাবতে পারিনি আমি! ভাবতাম, আমার বড় ভাই। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি। কোনোটায় নায়িকা, কোনোটায় আবার বোনের চরিত্রে। অভিনয় করেছি তার পরিচালনায়ও।
রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই কেমন জানি একটা সংকোচ লাগত। অন্যদের সঙ্গে এক-দুইবার কাজ করার পরই স্বাভাবিক হয়ে গেছি। কিন্তু ওনার সঙ্গে কখনোই সেটা হতে পারিনি। মনে হতো বড় ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করছি, কখন জানি ধমক দেন! কিন্তু তিনি সব সময় সাহায্য করতেন, কীভাবে চরিত্রটা ঠিকভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারি।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে একটি ঘটনা খুব মনে পড়ে। তখন তিনি সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকা। নায়করাজ। সেই সুপারস্টারের সঙ্গে আমার প্রথম সিনেমা। এটা ১৯৭৯ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘আয়না’। পরিচালক ছিলেন মোহসীন। এফডিসির দুই নং ফ্লোরে শুটিং হবে। আমার কল ছিল সকাল সাতটায়। তার আগেই চলে গেলাম শুটিং করতে। আমি মেকাপ নিয়ে বসে আছি। রাজ্জাক ভাই এলেন আটটায়।
আরও পড়ুন:
ফের জুটি হলেন মম-শ্যামল
আমি আর রাজ্জাক ভাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। কিন্তু আমি সংলাপ দিতে পারছি না। থরথর করে কাঁপছি। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। তিনি বুঝলেন, ভয়ে আমি এমনটি করছি। রাজ্জাক ভাই শুটিং বন্ধ করে দিলেন। পরিচালককে বললেন, আধাঘণ্টার জন্য শুটিং বন্ধ রাখতে। রাজ্জাক ভাই আমার সঙ্গে গল্প করলেন। আমাকে বোঝালেন, তিনিও নতুন ছিলেন। মঞ্চে যখন কাজ করতেন, তখন নাকি তারও এমন অবস্থা হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহস নিয়ে কাজটা করে গেছেন। কথাগুলো শুনে মুগ্ধ হলাম। তারপর সুন্দরভাবে শুটিং করলাম ‘আয়না’ সিনেমায়।
আরও পড়ুন:
মারা গেলেন পরীমনির নানা