জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবে গড়িমসি পুতিনের
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই নেতার সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে সাত ইউরোপীয় নেতা ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ট্রাম্প প্রথমে ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের কথা বললেও এখন বলছেন, প্রাথমিকভাবে পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক দ্বিপাক্ষিকভাবে হওয়াই ভালো। প্রয়োজন হলে তিনি যোগ দেবেন। তবে ক্রেমলিনের ভাষ্য, সম্ভাব্য বৈঠকের আগে ধাপে ধাপে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি রাশিয়ার আগের অবস্থান।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
রুশ উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বিবিসিকে বলেছেন, কেউ বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেনি, তবে শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক অর্থহীন।
এদিকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়া ওডেসায় একটি গ্যাস স্টেশন ও সুমি অঞ্চলে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু।
ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি হলে ইউরোপীয়রা স্থলবাহিনী মোতায়েন করতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্র আকাশপথে সহায়তা দিতে পারে। তবে মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। তার অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতির মাঝেই ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চয়তার খসড়া নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
রাশিয়ার দৃষ্টিতে জেলেনস্কি বৈধ নেতা নন এবং কিয়েভের পশ্চিমামুখী অবস্থান তাদের প্রধান উদ্বেগ। এ কারণে পুতিন সরাসরি আলোচনায় তেমন আগ্রহী নন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে জেনেভা বা বুদাপেস্টের প্রস্তাব তুলেছেন। যদিও কিয়েভ হাঙ্গেরির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দিহান।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পুতিনকে ‘শিকারি ও দানব’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি শান্তির পথে হাঁটবেন কি না, তা নিয়ে প্রবল সন্দেহ আছে।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুবও বলেন, ‘পুতিনের প্রতিশ্রুতি ভরসাযোগ্য নয়।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস