বাংলার জমিনে আগের নিয়মে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা সুন্দর না হবে, কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হবে, বিচার দৃশ্যমান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলার জমিনে আগের নিয়মে নির্বাচন হতে পারে না; হতে দেওয়া হবে না।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশ যখন আগুনের মতো জ্বলছিল তখন ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল অন্যায়, খুন-খারাবি ও বৈষম্য থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য। তারা রক্ত দিয়ে দেশকে উদ্ধার করেছে। যদি কোনো অশুভ চক্র চাপ প্রয়োগ করে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারের আগে নির্বাচনে ঘোষণা দিতে বাধ্য করে তাহলে আমরা পরিষ্কার বলছি, আমরা ছাত্র-জনতা কিন্তু রাজপথ ছাড়ি নাই। এই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘বিগত ৫৪ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারই হলো সংস্কারের প্রধান লক্ষ্য। সেই সংস্কারটাই হলো বিশ্বের বহুদেশের মতো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। এর মাধ্যমে বহুদেশে শান্তি এসেছে। কালো টাকার দৌরাত্ম্য, মাস্তানি ও সন্ত্রাস বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। বিভিন্ন জরিপেও উঠে আসছে যে, অধিকাংশ মানুষই পিআর চায়। পিআর আজকে দেশের সকল ধারার মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। নির্বাচনের পরে জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি কেউ দিয়ে দেবে সেটা আশার গুড়ে বালি। সবাইকে আহ্বান জানাব, টেন্ডারবাজি, রাহাজানি, সন্ত্রাস থেকে এবং বিদেশি আধিপত্য থেকে মুক্তির জন্য একমাত্র পদ্ধতি হলো পিআর পদ্ধতি। এই দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও দলের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। এতে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের মুখপাত্র মাওলান গাজী আতাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মুফতি রেজাউল করীম আবরার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল গণমিছিল চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের কাছে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।