ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কমছে দাম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত দুই দিনে প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। ব্যবসায়ীদের মতে পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম আরও কমতে পারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে,পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম জানান, দুদিন আগেও পাইকারিতে কেজি ৭০–৭৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৮৫ টাকা। আমদানির কারণে দাম কমেছে। পেঁয়াজ আমদানির খবরে এই দাম কমেছে।
আরিফুল ইসলাম নামে এক ভোক্তা জানান, সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজ আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারে কেজিতে ১৫ টাকা কমে এসেছে। তাই সরকার বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়ায় একজন ভোক্তা হিসেবে খুব খুশি।
এদিকে, পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি বা ইমপোর্ট পারমিট নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি একরামুল হকসহ ব্যবসায়ীরা।
তিনি জানান, সীমিত আইপি বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হবে, ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান আইপি নীতি পুনর্বিবেচনা করে উন্মুক্তভাবে আইপি দেওয়া হলে আমদানিকারকরা সুবিধা পাবেন। তাদের সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার ভারত থেকে ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৭৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে। আর গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৭৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।