কুয়েতে বিষাক্ত মদকাণ্ডে গ্রেপ্তার ‘হোতা’ বাংলাদেশি নয়
কুয়েতে বিষাক্ত মদ উৎপাদন ও বিতরণের অভিযোগে এক বাংলাদেশি জড়িত থাকার খবর ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করা হয়েছিল চক্রের হোতা একজন বাংলাদেশি নাগরি। বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশি দূতাবাস।
দূতাবাস প্রকাশিত ওই সংবাদ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিষাক্ত মদ তৈরির চক্রের হোতা 'দেলোরা বারকাশ দারাজি' নামে এক বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, এই নামটা বাংলাদেশের নামের সাথে একেবারেই অস্বাভাবিক। তাই দ্রুত এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ওয়াইফরা পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করে এবং আহমদি জেলার তদন্ত অফিসের প্রধানের সাথে কথা বলে।
কুয়েতের কর্তৃপক্ষ দূতাবাসকে নিশ্চিত করে যে এই ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি নাগরিক জড়িত ছিল না। গ্রেপ্তার হওয়া ৬৭ জন এবং নিহত ও আহতদের মধ্যেও কোনো বাংলাদেশি ছিল না।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কর্তৃপক্ষের এই নিশ্চিত তথ্যের পর কোনো সন্দেহ নেই যে বিষাক্ত মদ উৎপাদন বা বিতরণের সঙ্গে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পর্ক নেই।’
দূতাবাস আরও জানায়, এমন ভুল তথ্য প্রকাশ করা শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুনাম ক্ষুণ্ন করে না, বরং এটি তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করে এবং বিদেশিবিদ্বেষকে উসকে দেয়।
দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানিয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মান রক্ষা করতে এবং সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে বস্তুনিষ্ঠ ও পক্ষপাতহীন সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে গতকাল রবিবার ব্রিটিশ বার্তা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতে স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ খেয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের হোতা একজন বাংলাদেশি নাগরিক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তারা এই নিউজটি করেছিল।