১৮ বছর আগে চাকরিচ্যুত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৯
শেয়ার :
১৮ বছর আগে চাকরিচ্যুত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ

১৮ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সকল সুযোগ সুবিধা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও চারটি পৃথক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা ছিল স্বাধীন, সার্বভৌম ক্ষমতার ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ইসিকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছিলেন আপিল বিভাগ। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে একটি আপিল এবং চারটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়।

আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও আইনজীবী মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

এর আগে, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন ইসিকে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করে আদালতে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন।

২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতির আদেশ বহাল রেখে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।