গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা, বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের উপর হামলা জোরদার করেছে, যার লক্ষ্য হলো ছিটমহলের শেষ প্রধান জনবহুল এলাকাটি দখল করা। ফলে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি আবারও বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে গাজা শহরের জেইতুন, সাবরা, রেমাল এবং তুফাহ এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে জেইতুন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার, যেখানে কয়েকদিন ধরে লাগাতার হামলা করা হয়েছে। এলাকাটি পুরোই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
রবিবার গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
গতকালও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২২ মাসের যুদ্ধে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য তাঁবু এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
তবে ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাকে একাধিক মানবাধিকার সংস্থা ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ গাজায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হিন্দ খোদারি বলেছেন, ‘কামান ও বিমান হামলার ফলে প্রাণের ভয়ে অনেকেই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেইতুন পাড়াটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যেখানে অনেক পরিবার বাস করে। গোলাবর্ষণ ও তীব্র বিমান হামলা শুরু হলে বাসিন্দারা স্থানান্তরিত হতে শুরু করেন। সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বাধ্য হয়ে এলাকাটি ত্যাগ করছেন। তবে কিছু লোক এখনো থেকে গেছেন। ক্ষুধার্ত, বিধ্বস্ত এবং বারবার বাস্তুচ্যুত হয়ে আবারও স্থান ত্যাগ করতে হচ্ছে তাদের।