ইউরোপ আজ হোয়াইট হাউসে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
ইউরোপ আজ হোয়াইট হাউসে

হোয়াইট হাউসে আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন কিয়ার স্টারমারসহ ইউরোপের অন্যান্য নেতা। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত একটি ‘শান্তি পরিকল্পনা’র বিরুদ্ধে সমন্বিত চাপ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য, যে পরিকল্পনায় রাশিয়াকে ইউক্রেনের আরও কিছু ভূখণ্ড দখলের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

এই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ওভাল অফিসে উপস্থিত থাকার কথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন ও মার্ক রুটে, ন্যাটো মহাসচিব।

জার্মানির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ‘এই আলোচনায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, ভূখণ্ডগত সমস্যা এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়গুলো নিয়ে কথা হবে। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞার চাপ বজায় রাখাও অন্তর্ভুক্ত।’

ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, এই সফরের উদ্দেশ্য হলোÑ ‘একটি ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, যা ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ এবং ইউরোপের নিরাপত্তা রক্ষা করবে।’

ট্রাম্প এমন একটি পরিকল্পনা সমর্থন করছেন, যেখানে ইউক্রেনের দখলবিহীন ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দিলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবে।

‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ দুজন উচ্চপদস্থ ইউরোপীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন, যদি জেলেনস্কি দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি হন, তাহলে একটি শান্তিচুক্তি সম্ভব। রুশ সেনারা গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করেও এই দনবাস অঞ্চলটি সম্পূর্ণ দখল করতে পারেনি।

রাশিয়ার কাছে দনবাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর্থন ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ফাটল তৈরি করেছে, কারণ তারা এমন চুক্তির বিরোধী।

ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা ভয় পাচ্ছেন, যুদ্ধবিরতি ছাড়া সরাসরি শান্তিচুক্তিতে গেলে মস্কো আলোচনার সময় বাড়তি সুবিধা পাবে।

সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস বলেছেন, আজকের বৈঠক যে শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, সে ব্যাপারে ‘তেমন খুব আশাবাদী নন’। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এই কৌশলটি আপাতদৃষ্টিতে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।