জয়ের দেখা পেলেন সোহান-জিশানরা
দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বড় পুঁজি নিয়ে দাপট দেখালেন বোলাররাও। তাতে নেপালকে সহজেই হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৩২ রানের জয়ে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।
ইনিংসের শুরু থেকেই নেপালি ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা। নতুন বলে হাসান মাহমুদ-রিপন মন্ডলরা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তাদের বোলিং তোপে পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারায় নেপাল। মাঝের ওভারগুলোতে কার্যকরী ছিল বাংলাদেশি স্পিন। বিশেষ করে রকিবুল হাসান এদিন দারুণ বোলিং করেছেন। তিনি একাই শিকার করেছেন ৩ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নেপাল কোনোরকমে দেড়শ ছুঁয়েছে।
ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে জিশান এদিন রীতিমতো ঝড় তোলেন! তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে চোখে সরষে ফুল দেখেছেন নেপালি বোলাররা! ওপেনারদের এমন ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হরিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
স্পিনে ভরসা রাচিনের
ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাঈম শেখ। ১৮ বলে ২৫ রান করে এই ওপেনার বিদায় নিলে ভাঙে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে ফিফটি পেয়েছেন জিশান। সব মিলিয়ে ৪৫ বলে ৭২ রান করেছেন এ তরুণ।
চারে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আফিফ। ২৩ বলে অপরাজিত ৪৮ করেছেন তিনি। আফিফ ছাড়া মিডল অর্ডারের আর কেউ-ই সুবিধা করতে পারেননি। তাতে ভালো শুরু পাওয়ার পরও শেষ দিকে প্রত্যাশামতো রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
সূর্যর সাফল্যের মন্ত্র
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন জিশান। এ ছাড়া অপরাজিত ৪৮ রান এসেছে আফিফের ব্যাট থেকে। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি নেপাল।
সোহানদের অবশ্য ডারউইনে শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহীনসের কাছে উড়ে গেছে তারা। নেপাল বেশ গোছানো ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নোঙর করাতে সহায়তা করেন জিশান আলমরা।
আরও পড়ুন:
বিপাকে আলভেস