কাশ্মীরে ভারি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা /
নিহত বেড়ে ৪৬, নিখোঁজ দুই শতাধিক
ভারতীয় কাশ্মীরে আকস্মিক ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে ৪৬ জন মারা গেছেন এবং ২০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে হিমালয়ে এটি দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরণের দুর্যোগ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কিশতোয়ার জেলার চাসোটি শহরে এই ঘটনাটি ঘটেছে, যা একটি জনপ্রিয় তীর্থযাত্রার বিরতিস্থল। এর আগে হিমালয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে একটি প্রবল বন্যা এবং কাদা ধসের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার কিছুদিন পরেই এটি ঘটল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, বন্যায় গ্রামে স্থাপিত একটি কমিউনিটির রান্নাঘর এবং একটি নিরাপত্তা চৌকি ভেসে গেছে। এছাড়া মাচাইল মাতা মন্দিরে যাওয়ার পথে এখানে রয়েছে একটি পিট স্টপ, যা এই বন্যায় ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ঘটনাটি সম্পর্কে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী দুপুরের খাবারের জন্য জড়ো হয়েছিলেন এবং তাদের অনেকেই ভেসে গেছেন।
মাচাইল যাত্রা হচ্ছে হিমালয়ের উঁচু মাচাইল মাতার মন্দির, যা দেবী দুর্গার অন্যতম রূপ এবং একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। চাসোটি থেকে তীর্থযাত্রীরা মন্দিরে যান, যেখানে যানবাহনের জন্য রাস্তা শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ভারতের ফেডারেল অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্সে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘খবরটা দুঃখজনক হলেও সত্যি, মেঘের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে যাচাই করা তথ্য খুব ধীরে আসছে।’ মেঘ বিস্ফোরণ বলতে বোঝায়- কোনো এলাকায় হঠাৎ ভারি মেঘ জমে স্বল্প সময়ে অস্বাভাবিক পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়া, যা আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, হঠাৎ গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় তীর্থযাত্রীরা ভয়ে কাঁদছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
কিশতোয়ার জেলার বিভাগীয় কমিশনার রমেশ কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, স্থানীয় পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ করছেন।