নেত্রকোনায় বিএডিসি ভবনের ছাদ ধসে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
নেত্রকোনা শহরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) পুরোনো ভবন ভাঙার সময় ছাদ ধসে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নেত্রকোনা শহরের নাগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকেরা হলেন- সদর উপজেলার হলুদাটি গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে হান্নান মিয়া (৩৮), আটপাড়া উপজেলার অভয়পাশা গ্রামের সালাম মিয়া (৪০) ও পৌর শহরের পলাশহাটি গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে দীপু মিয়া (৩৯)। আহত শ্রমিকেরা হলেন- হাসান মিয়া (৩৮) ও সাইফুল ইসলাম (৩৫)। তারা নেত্রকোনার বাসিন্দা।
নিহতদের সঙ্গে কাজ করা প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক নসু মিয়া বলেন, ‘আমরা দুই মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবন ভাঙার কাজ করছি। বিএডিসির একটি ভবন ভাঙার কাজ শেষ করে গোডাউনটি ভাঙার কাজ চলছিল। ভবনের সামনে অংশের প্রবেশ মুখের ছোট ছাদটি অসতর্কতার কারণে ভেঙে পড়ে। এ সময় নিচে তিন শ্রমিক ইট সরানোর কাজ করছিল। তারা চাপা পড়ে মারা যায়। এ সময় উপরে থাকা দুইজন আহত হয়।’
নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খানে আলম খান বলেন, ‘ভবন ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান আসি। এ সময় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুইজনকে আহত অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘বিএডিসি (সেচ) অফিসের একটি পুরোনো ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। বিকেলে কাজ চলা অবস্থায় ভবনটির ছাদের একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে। এ সময় ৫ জন শ্রমিক ছাদের ভাঙা ওই অংশের নিচে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাপা পড়া অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত বাকি দুজনকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।’
‘বিএডিসি (সেচ) অফিসের একটি পুরাতন ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। বিকালে কাজ চলা অবস্থায় ভবনটির ছাদের একটি অংশ ভেঙে নীচে পড়ে । এসময় ৫ জন শ্রমিক ছাদের ভাঙ্গা ওই অংশের নীচে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাপা পড়া অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত বাকি দুইজনকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হচ্ছে।
