মিটফোর্ডে পাথর দিয়ে মানুষ মেরেছে, এখন সিলেটের সব পাথর খেয়ে ফেলেছে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০২৫, ২১:৪২
শেয়ার :
মিটফোর্ডে পাথর দিয়ে মানুষ মেরেছে, এখন সিলেটের সব পাথর খেয়ে ফেলেছে

সিলেটে পাথর হরিলুট প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘এতো ক্ষুধার্ত হলেতো বাংলাদেশ গিলে ফেলবে। আগে পাথর দিয়ে মিটফোর্ডে মানুষ মেরেছে, এখন সিলেটের সব পাথর খেয়ে ফেলেছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর শহর শিবির আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সাঈদীসহ একই মামলায় অন্যায়ভাবে বিচারিক কায়দায় অন্যান্যদেরকে হত্যার ঘটনায় সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিলেটে পাথর খাওয়া শুরু হয়ে গেছে। দুর্বল মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন ৩-৪ হাজার কোটি টাকার পাথর হাজার হাজার টাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার পরে এখন তারা গিয়ে এদেকি সেদিকে পাথর খোঁজে। মেরুদণ্ডহীন এই প্রশাসন।’

রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র কার লিখে দেওয়া জিনিস ড. ইউনূস সাহেব পড়েছেন, এটি আপনি ভালো জানেন। কিন্তু জুলাই সনদকে যদি আইনের ভিত্তির মাধ্যমে, আগামি নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের একটি ভিত্তি হিসেবে তৈরি করা না হয়, তাহলে যেদিন থেকে জুলাই সনদ ঘোষণা হবে, এই স্পিরিটের বিপরীতে যদি জুলাই সনদ ঘোষণা হয় সেদিন থেকেই আবার দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের আন্দোলনের শুরু হবে।’

জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘হুশিয়ার-সাবধান। আগামি দিনের বাংলাদেশ-জুলাই যোদ্ধাদের বাংলাদেশ। যেনতেন পদ্ধতিতে এই বাংলাদেশকে আমরা কারো হাতে তুলে দেব না। সংস্কার -বিচার এবং জুলাই সনদ কায়েমের মাধ্যমে আগামি দিনে একটি অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে ৭১ পার্সেন্ট মানুষ যে প্রত্যাশা করে, সে নির্বাচনকে নিশ্চিত করবার জন্যে প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে একজন রিকশাচালক চোখ হারিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ‘‘আমার দুনিয়া অন্ধকার হলেও, আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট খুনী শেখ হাসিনা পালিয়ে আজকে গোটা পৃথিবী মানুষের জন্য আলোকিত হয়েছে।” তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার কষ্ট হচ্ছে, তিনি বললেন- ‘‘কোন কষ্ট নেই। তবে একটি দুঃখ আছে, আমার দুঃখ হল আমি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে এতো বেশি ভালোবাসি, আল্লাহ-তো আমার চোখ দুটি নিয়েছেনই। এই চোখ দুটি যদি আরও আগে নিতেন, এর মধ্য দিয়ে যদি শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতো, তাহলে আমার প্রিয় মানুষ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদি সাহেব বেঁচে থাকত”।’

লক্ষ্মীপুর শহর শিবিরের সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল হামদুর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সরদার সৈয়দ আহমেদ, সদর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রটারী আনোয়ার হোসেন, শিবিরের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জাহিদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ফয়সাল প্রমুখ।