হাঁসের মাংস খেতে নীলা মার্কেটে যান আসিফ মাহমুদ
যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি ভোরে ৪-৫ জন মিলে হাঁসের মাংস খেতে যান পূর্বাচনের ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটে। তবে নীলা মার্কেট বন্ধ থাকলে তিনি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত দ্য ওয়েস্টিন, ঢাকা হোটেলে যান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
গুলশানে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্পৃক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জানে আলম অপু। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে এ দাবি করেন তিনি। আজ সচিবালয়ে এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
ওয়েস্টিনের সামনে সেদিন গিয়েছিলেন কি না, সিসিটিভির ফুটেজে (ফুটেজ দেখিয়ে) দাবি করা হচ্ছে আপনি বাইকে করে সেদিন গিয়েছিলেন। এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যেই রাতে যখন কাজ শেষ হয়ে যায়, কখনো কখনো ভোর হয়ে যায়, ওই সময় বাসায় আসলে খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। তো আমি বেশির সময় যাই হলো ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেট বলে একটা জায়গা আছে, ওইখানে হাঁসের মাংস খুব ভালো পাওয়া যায়। তো ওইখানে হয়তো যাই ৪-৫ জন মিলে। মাঝেমধ্যে ওইটা আবার বেশি ভোর হয়ে গেলে বন্ধ থাকে। তখন ওইদিকে ওয়েস্টিনে যাওয়া হয়। তবে এক্সাক্টলি ওই দিন আমি গিয়েছিলাম কি না বা ছিলাম কি না...।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মোটরসাইকেলে একজন যাচ্ছেন হেলমেট পরে, তিনি আপনি কি না? আরেক সাংবাদিক তা জানতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন দেখেন, সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমাকে বলে দাবি করা হয়, বিশ্বাস যোগ্য কতটুকু?’
আপনি কী অস্বীকার করছেন অভিযোগটা? এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘এর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নাই। আমার মনে হয় না এখনো কেউ প্রমাণ দিতে পেরেছে আমার সম্পৃক্ততা আছে। যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তার সাক্ষাৎকার একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ এসেছে, এটাও অত্যন্ত গুরুতর একটি অভিযোগ। সেটা পরিবারের (অপুর পরিবার) দিক থেকে এসেছে এবং যথেষ্ট রিয়ায়েবল মনে হচ্ছে। তো, এই ঘটনায় আমার যে সম্পৃক্ততার কথা বলা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তবে জানে আলম অপুকে চিনতেন বলে জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘জানে আলম অপুকে আমি চিনতাম, যখন আমি ছাত্রঅধিকার পরিষদে ছিলাম, ২০২২ সালে, যখন ক্যাম্পাসে আমরা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তখন সেও (অপু) ছাত্রঅধিকার পরিষদ করত। সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে বোধ হয় ছিল। তখন থেকে চিনতাম, কিন্তু গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তার সঙ্গে কখনো কথা বা দেখা হয় নাই।’