সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে হত্যা করে আরেক স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন রশিদ
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই সন্তানের সামনে স্বামী ও সতিন মিলে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করলেও ঘটনার পর থেকে স্বামী ও সতিন পলাতক রয়েছেন।
নিহত আছমা (৩৫) নেত্রকোনা জেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের মো. সবুজ মিয়ার মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে কেওয়া গ্রামের আবু আলীর বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। অভিযুক্ত স্বামী আ. রশিদ উপজেলার বরমী গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের ছোট বোন সিফা বলেন, ‘গত ৭-৮ মাস ধরে আমার বোন ওই বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। তার স্বামীর আরো তিনজন স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু তিনি আমার বোনকে সব সময়ই নির্যাতন করতেন। দুএক দিন আগে তিনি তার ছোট স্ত্রীকে এ বাসায় নিয়ে আসেন। পরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী ও সতিন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে তার দুই সন্তানের সামনেই হত্যা করে। পরে লাশ ঘরে রেখে তারা দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গিয়ে বোনকে মৃত দেখতে পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোনকে রশিদ তার ছোট স্ত্রীকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক জানান, ভাড়াটিয়াদের বাসায় তেমন যাওয়া হয়না। বেলা এগারোটার দিকে ওই নারী মরদেহ ঘরে পড়ে থাকার খবর পাই। গিয়ে দেখি তার বোন পাশে বসে কাঁদছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত শামীম আক্তার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’