বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বিএনপির ফজলুর রহমানকে আলটিমেটাম
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার না করে তাহলে কিশোরগঞ্জে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও থুথু নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করবে বিপ্লবী ছাত্র জনতা। আজ বুধবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সাবেক নেতারা।
নেতারা বলেন, ‘বিপ্লবী ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে আজ আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি, বিপ্লবের এক বছরের মাথায় বিপ্লবীদেরকে মৃত্যুর ভয় দেখানো হচ্ছে। যেই মুজিববাদকে আমরা উপড়ে ফেলেছি সেই মুজিববাদের সৈনিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিচয়ে পরিচিত অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। যার প্রতিটা কথায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি ছাত্র জনতার বিপ্লবকে স্বীকার তো করেনই না বরং এই বিপ্লবকে অস্বীকার, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, শহিদদের অবমাননা, আহতদের তিরস্কারসহ অভ্যুত্থানের নেতাদের আওয়ামী বয়ানে ঘায়েল করতে চান। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আর কোনো ফ্যাসিবাদ,কোনো মুজিবাবাদী শাবককে আমরা মেনে নিবো না। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত এই মুখোশধারী মুজিবাবাদী শাবককে তার উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপিকে দায়মুক্ত করুন।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি ফজলুর রহমান একটা অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিজের ফ্রেমিংয়ে ফেলে ‘বেজন্মা’ বলে গালি দিয়েছেন। মুজিববাদী এই ফজলুর বিএনপির নেতা হয়েও গত কয়েক মাস ধরে গণহত্যাকারী আওয়ামীলীগারের মাঠে সরব থাকছে। তিনি যে ভাষায় বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করছেন, সে ভাষা ও বয়ান পুরাপুরি খুনি লীগের। ফজলুর রহমানের মতো পলিটিক্সে ন্যূনতম আদবের তোয়াক্কা না করা, ইনিয়ে বিনিয়ে ফ্যাসিবাদের দালালি করা, অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে না পারা, আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।
নেতারা আরও বলেন,‘সারজিস আলমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিপ্লবের এক বছরের মাথায় যদি এভাবে বিপ্লবীদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় পরে যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় সেক্ষেত্রে আমাদেরকে পুলিশ হত্যা মামলাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের আওয়ামী নেরেটিভ মামলায় ফাঁসানো হবে বলে ধারণা করছি। তাই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, আমাদের দেওয়া থুথু নিক্ষেপ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি ফজলুর রহমান তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করে তাহলে কিশোরগঞ্জের ছাত্র জনতা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে থুথু নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করবে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূইয়া ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক মুখপাত্র মানস সরকার উৎস, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব শামসুর রহমান, সদস্য আরিফুল ইসলাম রাফি, তামিম ইকবাল, মিয়াদ, দেলোয়ার নেওয়াজ ভূইয়া, নুহা, রওজা ও মাইশা সহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।