নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের উল্লাপাড়া আরএস রেলগেট এলাকায় রেলসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসির অনুরোধে প্রায় ৮ ঘণ্টা পর বিকাল ৩টার পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যার করে নেয়। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিমে এবং সকাল-সন্ধ্যা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভোগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ।
এর আগে আজ বুধবার সকাল থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লাপাড়া আরএস রেলগেট এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। পরে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে তারা ঢাকা থেকে উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গগামী রেলসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মিছিল করতে থাকে।
এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেনটি উল্লাপাড়ার মোহনপুরে, পাবনার সরতনগর রেলস্টেশনে চিলাহাটি, পাবনার ভাঙ্গুড়া রেলস্টেশনে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এবং পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে চিত্রা ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
অপর দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ধুমকেতু ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের জামতৈল রেলস্টেশনে, রংপুরগামী সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদ রেলস্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস এবং টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনে পঞ্চগরগামী একতা এক্সপ্রেস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
তবে অবরোধ চলাকালীন ঘটনাস্থলে এসে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত ও উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল হাসানের অনুরোধে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। পরে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এর জন্য জনগণের যে ভোগান্তি হবে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’
উল্লাপাড়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মাসুম আলী বলেন, ‘অবরোধের কারণে ৫টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে ছিল। শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে ব্যাপকভাবে।’
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন করেছেন।
এদিকে সকাল থেকেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।