জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এবং দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন আদালত। আজ বুধবার জি এম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসেন আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মামলার বাদী জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ গত ২ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন করেন। পরে ১১ আগস্ট মামলাটি ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বদলি হয়। পরের দিন বিচারক রুবায়েত ফেরদৌস মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে জি এম কাদের ও মাহমুদ আলমের দলীয় কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে আর কোনও বাধা নেই।
গত ৩০ জুলাই জি এম কাদের এবং মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এছাড়া জি এম কাদের যে ১০ জনের ওপর বহিষ্কারাদেশ দিয়েছিলেন তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে এই ১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় গত ১০ জুলাই অব্যাহতি পাওয়া নেতারা জি এম কাদেরসহ দুইজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বিবাদীর তালিকায় আরও দুজনের (মোকাবিলা বিবাদী) রয়েছেন, যাদের বিষয়ে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি।
ওই ১০ ব্যক্তি হলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক-২ এম.এ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার (ফেনী), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থীভাবে জি এম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জি এম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিল করে অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। সবশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় গত ১০ জুলাই এই দশজন মিলে জি এম কাদেরসহ চার জনকে বিবাদী করে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি