এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ, যান চলাচল ব্যাহত
জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এই কর্মসূচিতে সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী জনসাধারণ।
আজ বুধবার সকাল থেকে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশের কারণে পল্টন থেকে হাইকোর্ট ও শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিপরীত দিকে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। ঘটনাস্থলে ও আশপাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রেস ক্লাব এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
জানা গেছে, দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করার চিন্তা ছিল শিক্ষকদের। তবে পদযাত্রার পরিবর্তে পুলিশের সহায়তায় একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গেছেন শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে।
শিক্ষকদের এ প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মঈনুউদ্দীন ও সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
এদিকে সকালেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখি ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। তখন প্রতিশ্রুতি ছিল পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের। তবে আগের সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ জন্য জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সকালে জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। আর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।’