যৌন সহিংসতা /
ইসরায়েল ও রাশিয়াকে সতর্ক করলেন গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েল ও রাশিয়াকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় যৌন সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ থাকায় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিযুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেন, ‘জাতিসংঘের নথিতে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতার ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। এসব ঘটনা উদ্বেগজনক এবং গুরুতর হওয়ার কারণে ইসরায়েল ও রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করা হলো।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন সূত্রে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন সহিংসতা বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে মহাসচিব বলেন, ‘ইসরায়েল ও রাশিয়াকে আগামী বছর সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যেখানে সংঘাতের সময় ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতায় জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।’
গুতেরেস জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাওয়া তথ্য তাকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। এসব অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী একাধিক কারাগার, একটি আটককেন্দ্র এবং একটি সামরিক ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনিদের ওপর যৌন সহিংসতা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
জাতিসংঘের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যৌন সহিংসতার ঘটনায় পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে-যেমন যৌনাঙ্গে নির্যাতন, দীর্ঘ সময় ধরে জোর করে নগ্ন করে রাখা এবং অপমানজনকভাবে বারবার তল্লাশি চালানো।
গুতেরেস আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকদের প্রবেশাধিকার না দেওয়ায় ইসরায়েলের বাহিনী পদ্ধতিগতভাবে যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তিনি ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, অবিলম্বে সব ধরনের যৌন সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
রাশিয়ার ক্ষেত্রে গুতেরেস লিখেছেন, তিনি রুশ সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনী এবং তাদের সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-ভিত্তিক অভিযোগ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব অভিযোগ মূলত ইউক্রেন ও রাশিয়ার ভেতরে অবস্থিত ৫০টি সরকারি ও ২২টি অনানুষ্ঠানিক আটক কেন্দ্রে ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নির্যাতনকে ঘিরে।
তিনি জানান, এসব ঘটনায় যৌনাঙ্গে নির্যাতনের বহু প্রমাণ নথিভুক্ত হয়েছে-যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা, মারধর, যৌনাঙ্গ আগুনে পোড়ানো, জোর করে পোশাক খুলে রাখা এবং দীর্ঘ সময় নগ্ন অবস্থায় রাখার মতো কাজ। এগুলো বন্দিদের অপমানিত করা ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি বা তথ্য আদায়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
যদিও জাতিসংঘে রাশিয়ার মিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস