নিখোঁজের ১২দিন পর ক্ষেতে মিলল বাক-প্রতিবন্ধীর মরদেহ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
১২ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৭
শেয়ার :
নিখোঁজের ১২দিন পর ক্ষেতে মিলল বাক-প্রতিবন্ধীর মরদেহ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজের ১২দিন পর আমন ক্ষেত থেকে এক বাক-প্রতিবন্ধীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার স্বজনরা।

নিহত বাক প্রতিবন্ধীর নাম রবিউল আউয়াল (৫৪)। তিনি গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের সোনা মিয়া সওদাগরের ছেলে বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাউশিয়া ইউনিয়নের পোরান বাউশিয়া নয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিম চকে আমন ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১ আগস্ট সকালে নয়াকান্দি গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে বের হন তিনি।

খবর নিয়ে জানা যায়, রবিউল আউয়াল বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বিয়ে-শাদী করেননি। বড় ভাই জিলানীর বাসায় থাকতেন তিনি। কৃষিকাজ, দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন রবিউল। অন্যান্য দিনের মতো গত ১ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যায় তিনি বাসায় না ফিরলে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। দীর্ঘ সময় পরও তার সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয় কবিরাজ ও তান্ত্রিকের দারস্ত হয় তারা। 

ধান ক্ষেতে মরদেহ দেখতে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে স্থানীয় এক জেলে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে ধান ক্ষেতে একটি মরদেহ দেখতে পান। মরদেহটির অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ১০/১২দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে নিখোঁজ রবিউল আউয়ালের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাকাপড় থেকে মরদেহটি তার বলে নিশ্চিত করেন।

নিহত রবিউল আউয়ালের বড়ভাই জিলানি বলেন, ‘মরদেহটি যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে হাটু পরিমাণ পানি। এখানে ডুবে কারো মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। আমার ভাই বাক-প্রতিবন্ধী ছিল। তার অন্য কোনো সমস্যা ছিল না। তার সঙ্গে সবসময় ২০/৩০ হাজার টাকা থাকতো। তাকে কেউ হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি আমরা।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’