অপরাধ দমনে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি /

ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৪
শেয়ার :
ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধ ও গৃহহীনতা দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি রাজধানীর পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

সোমবার ট্রাম্প রাজধানীতে ‘জননিরাপত্তা জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেন। এর আগে সপ্তাহান্তে শতাধিক ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটি এখন সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলাহীনতার পরিস্থিতিতে রূপ নিচ্ছে।’

ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি আমাদের দেশের রাজধানীকে অপরাধ, রক্তপাত, কলঙ্ক, অশান্তি এবং আরও খারাপ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করার জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছি।’

যেখানে তার পাশে ছিলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি, যিনি ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন শহরের পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দেবেন।

তিনি বলেন, ‘এটি ডিসিতে মুক্তি দিবস এবং আমরা আমাদের রাজধানী ফিরিয়ে নেব।’

ট্রাম্প বলেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসি হিংসাত্মক দল এবং রক্তপিপাসু অপরাধীদের দখলে এবং মাদকদ্রব্য সেবনকারী পাগল এবং গৃহহীন মানুষদের দখলে রয়েছে।’

তবে ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসার প্রেসিডেন্টের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালে অপরাধের হার কিছুটা বেড়েছিল বটে, তবে এরপর তা হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীতে সহিংস অপরাধ বর্তমানে গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।

শহরের মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৩২% কমেছে এবং ২০১৯ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তথ্য দেখায়, এই বছর আরও একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে ১২%।

ফ্রি ডিসি’র নির্বাহী পরিচালক কেয়া চ্যাটার্জি বলেছেন, ‘ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ শুধু দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত শহরের বাসিন্দাদের অধিকারের বিরুদ্ধে আরেকটি আঘাত নয়, বরং এটি একটি বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি।’

চ্যাটার্জি বলেন, ‘এটি মানুষ যে ধরণের শব্দ ব্যবহার করে আসছে, যেমন ‘অভূতপূর্ব এবং ‘অস্বাভাবিক’, তার চেয়েও বেশি কিছু।’ 

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এটি কেবল কর্তৃত্ববাদ।’

১৭৯০ সালে কংগ্রেস মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়া থেকে জমি নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই এখানকার কয়েক লাখ বাসিন্দার অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছে।