ইতালি গমনেচ্ছুদের জন্য সুখবর দিল সরকার
ইতালি যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের এখন থেকে সরকারি কনস্যুলার ও প্রশাসনিক ফি ছাড়া অন্য কিছু পরিশোধের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতালি সরকার ‘ফ্লুসি ডিক্রি’ কর্মসূচির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে মৌসুমি ও অ-মৌসুমি খাতে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। আট বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ পুনরায় এ কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালিতে নতুন করে মৌসুমি কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ইতালীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতালীয় দূতাবাসে মুলতবি থাকা নুলা ওস্তা তথা ওয়ার্ক পারমিটগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়টি দুই পক্ষই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ বছরের মে মাসের প্রথম দিকে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসির সফরসহ ইতালীয় রাষ্ট্রদূত এবং সফররত ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সকল বৈঠকে বিষয়টি অত্যন্ত জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমীমাংসিত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে তাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ইতালীয় দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ইতালি সরকার নতুন ডিক্রি জারি করে এর আওতায় গতবছরের ২২ অক্টোবর আগে ইস্যু করা সকল ওয়ার্ক পারমিট স্থগিত করা হয়। এই নতুন আইনের বিধান অনুযায়ী, কেবল প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষেই ঢাকায় ইতালীয় দূতাবাস ভিসা অনুমোদন বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে স্থানীয় ইতালি দূতাবাস জমে থাকা ভিসা অনুমোদনের জন্য প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে, যা সময়সাপেক্ষ। তা সত্ত্বেও, এরইমধ্যে তারা প্রায় ৪০ হাজার মুলতবি আবেদনের মধ্যে ৮ হাজারেও বেশি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে। এ ছাড়া, আরও প্রায় ২০ হাজার সম্ভাব্য আবেদনকারীর ওয়ার্ক পারমিট এবং এ সম্পর্কিত ভিসা প্রক্রিয়াকরণের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শিগগিরই শুরু হবার কথা রয়েছে।
ইতালিতে কর্মী হিসেবে যেতে আগ্রহী অথবা ইতোমধ্যে নুল্লা ওস্তা প্রাপ্ত প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে যে, ভিসা প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ এবং ইতালি সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অনুগ্রহপূর্বক ধৈর্যধারণ করা অনিবার্য। এ প্রক্রিয়া একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার প্রতি আমাদের আস্থা রাখা প্রয়োজন।
যেকোনো ধরনের নেতিবাচক প্রচার বা কার্যক্রম ইতালি সরকারের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে, যা বর্তমানে যারা ভিসাপ্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছেন বা যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের আবেদন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনার উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ বিষয়ে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?