বাটলারের গর্ব মেয়েরা
আফঈদারা প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করেছে। এতে গর্ব করেন কোচ পিটার বাটলার। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় হার তিনি মনে করেন শিক্ষা হিসাবে। ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপ ফুটবলের মূল পর্বে খেলতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু রবিবার বাছাইয়ে এইচ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছেন আফঈদা খন্দকাররা। লাওস জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
যদিও ম্যাচের শুরুর দিকে আগে গোল করে চমকে দিয়েছিলেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা। কোরিয়ান মেয়েদের প্রথমার্ধে আটকে রাখতে পারলেও বিরতির পর ধসে পড়ে লাল-সবুজের রক্ষণভাগ। তাতেই বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া দাপটের মুখে খেলেছে প্রতিপক্ষরা। এই জয়ে এখন এইচ-গ্রুপে সেরা হয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। বাংলাদেশকে এখন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে অন্য গ্রুপের ম্যাচের দিকে। কারণ আটটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন রানার্সআপ সুযোগ পাবে মূল পর্বে। কোরিয়ার বিপক্ষে ৫ গোলের ব্যবধানে হারায় এখন বাংলাদেশের তিন ম্যাচশেষে ৬ পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান ৫। ফলে সেরা তিন রানার্সআপের মধ্যে থাকা খানিকটা শঙ্কার মধ্যেই পড়েছেন আফঈদারা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ভিয়েনতিয়েনের জাতীয় স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রথমার্ধে সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। কোরিয়া সবদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। বরং বাংলাদেশ প্রথম গোল করে তাদের চমকে দেয়। দ্বিতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল দুয়ারে। সতীর্থের লং পাস ধরে গোলকিপারকে একা পেয়েও গিয়েছিলেন সাগরিকা। কিন্তু বলের স্পর্শ জোরে হওয়ায় ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। ওই সময়ই সাগরিকা চিপ করতে পারলে গোল হতে পারত। ম্যাচের ১৪ মিনিটে তৃষ্ণা রানী বক্সের ঠিক ওপরে বল পেয়েছিলেন, কিন্তু দুই ডিফেন্ডারের বাধা পার হতে ব্যর্থ হন তিমুর লেস্তের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এ ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটেই বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। গোলের কারিগর সাগরিকা। তার পাস বাঁ প্রান্তে পেয়ে শান্তি মার্ডি বক্সে ঢুকে গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে আড়াআড়ি পাস বাড়ান। বল গোলকিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন তৃষ্ণা (১-০)। লাওসের স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা আনন্দে মেতে উঠেন। বয়সভিত্তিক হলেও কোরিয়ার জালে বাংলাদেশের গোল এটা ফুটবলে বড় আনন্দের উপলক্ষ্যই। মিনিট চারেক পরেই সমতায় ফেরেন কোরিয়ানরা। বাঁ দিক থেকে আসা আক্রমণ আটকাতে পোস্ট ছেড়ে কিছুটা এগিয়েছিলেন গোলকিপার স্বর্ণা রানী মণ্ডল। সতীর্থের পাস ধরে ফাঁকায় থাকা লি হেউন সহজেই খুঁজে নেন জাল (১-১)।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিরতির পর বাংলাদেশকে অসহায় বানিয়ে কোরিয়া একচেটিয়া দাপট দেখায়। ৫ গোল আসে এই অর্ধে। দুর্বল পাসিং ও রিসিংভিংয়ের মহড়া চলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোরিয়া একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। বাঁ দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণ আটকাতে ডিফেন্ডাররা সবাই মনোযোগী হওয়ায় ডান প্রান্তে ফাঁকা জায়গা পেয়ে যান চো হেইওং। সতীর্থের পাস ধরে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-১)।