বন অধিদপ্তরের ১৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্তে দুদক
বন অধিদপ্তরের দেড় হাজার কোটি টাকার ‘সুফল’ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ কয়েকজন কর্মকর্তা। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গতকাল রবিবার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দ্রুত অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, ‘টেকসই বন ও জীবিকা’ শীর্ষক ‘সুফল’ প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। উদ্দেশ্য ছিল বনভূমি বাড়ানো এবং জীবিকা উন্নয়ন। দেশের ২৮ জেলা ও পাঁচটি বনাঞ্চল এ প্রকল্পের আওতায়। এটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ মেলে। কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। গত ফেব্রুয়ারিতেও বন অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছিল দুদক।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ডিপিডিসিতে সরবরাহ করেছেন। পদোন্নতিতে অনিয়ম এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও আছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ ছাড়া, ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আব্দুল হামিদসহ ১৬ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক। আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।