মার্কিন করিডোরকে ‘কবরস্থান’ বানানোর হুঁশিয়ারি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪৭
শেয়ার :
মার্কিন করিডোরকে ‘কবরস্থান’ বানানোর হুঁশিয়ারি ইরানের

আজারবাইজান-আমের্নিয়ার শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানালেও মার্কিন করিডোর নিয়ে আপত্তি তুলেছে ইরান। ‘ট্রাম্প করিডোর’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পটি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত করিডোর, যা এ দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরান বলছে, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রস্তাবিত ট্রাম্প করিডোরকে ‘কবরস্থান’ বানাবে তারা।

করিডোরটি মূলত আর্মেনিয়ার দক্ষিণ অংশের সিয়ুনিক প্রদেশের মধ্য দিয়ে আজারবাইজানকে তার নাখচিভান প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এরপর নাখচিভান থেকে এটি তুরস্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর প্রধান উদ্দেশ্য, আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন নাখচিভান প্রদেশের সাথে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ স্থাপন করা এবং একইসঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথ খুলে দেওয়া। ট্রাম্পের দাবি, করিডোরটি শুধু পণ্য পরিবহনের জন্য নয়, বরং তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং ফাইবার অপটিক লাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও ব্যবহৃত হবে।

গতকাল শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আকবর ভেলায়েতি বলেছেন, এখানে তারা কোনো করিডোর বানাতে দেবেন না। তিনি বলেন, ‘এই করিডোর ট্রাম্পের মালিকানাধীন কোনো পথ হবে না। এটি হবে ট্রাম্পের ভাড়াটে যোদ্ধাদের কবরস্থান।’

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে এই করিডোরের প্রস্তাবনাটি এসেছে। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ট্রাম্প রুট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি’। এই প্রকল্পটিকে উভয় দেশের নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ এটি দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে পারে বলে তারা মনে করেন। তবে ইরান মনে করে, এই করিডোরটি সরাসরি তাদের সীমান্তের পাশ দিয়ে যাওয়ায় এটি তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।