তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ প্রকাশের হুমকি নীলা ইস্রাফিলের

অনলাইন ডেস্ক
০৯ আগস্ট ২০২৫, ২২:০৪
শেয়ার :
তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ প্রকাশের হুমকি নীলা ইস্রাফিলের

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়েছেন নীলা ইস্রাফিল।

আজ শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এ হুমকি দেন তিনি।

নীলা ইস্রাফিল বলেন, ‘তুষার ও এনসিপির যারা আমাকে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আপনারা যদি মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত না থাকেন, তাহলে আমি বাধ্য হবো- তুষার আমার সাথে নেপালে বসে যেসব ভিডিও আমাকে পাঠিয়েছে, যেসব নগ্ন জিনিস আমার কাছে আছে, সেগুলো আমি প্রকাশ করতে বাধ্য হবো। তখন কোথায় গিয়ে আপনারা প্রিটেন্ড (মিথ্যা নালিশ) করবেন আমি কিন্তু জানি না। আমি ওয়ার্ন (সতর্ক) করছি, তুষার যেন জনসম্মুখে আমাকে স্যরি বলে। এই যে যা কিছু আমি প্রকাশ করছি, সেগুলো কিন্তু বানোয়াট কিছু না।’

এনসিপির উদ্দেশে নীলা বলেন, ‘যদি আপনারা দুঃখ প্রকাশ না করেন, ভুল করেছেন, সেটা স্বীকার না করেন, তাহলে আমি বাধ্য হবো, আমার কাছে তুষারের যেসমস্ত ভিডিও, ছবি আছে সেগুলো প্রকাশ করে দিতে।’

এর আগে নীলা ইস্রাফিল অভিযোগ করেন, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম লিখিয়েছেন সারোয়ার তুষার।

জবাবে তুষার ফেসুবকে লেখেন, ‘নীলা ইস্রাফিল মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমরা পুলিশ ও তার পরিচিত মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট লেনিন ভাইকে ডেকেছিলাম। পুলিশের উপস্থিতিতে লেনিন ভাইসহ তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি। এই ভর্তি ফরমে কি লেখা হচ্ছে তা তখন খেয়াল করি নাই। সেই সুযোগ ছিল না। ফর্ম ইন্টার্ন ডাক্তাররাই পূরণ করেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সার্কুলেট করা হচ্ছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘হাসপাতালের ভর্তি ফরমের ফর্মালিটিজের কথা আপনারা সবাই জানেন। নারীর ক্ষেত্রে স্বামী/পিতার নাম লিখতে হয়। অথবা যিনি নিয়ে এসেছেন তার নাম লিখতে হয়। এখানে পরিস্কারভাবে দেখা যাচ্ছে care of অর্থে C/O লেখা যেটা লাল দাগের মধ্য দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে এবং প্রচার করা হচ্ছে আমি নাকি স্বামীর ঘরে নিজের নাম লিখেছি। আমি কি পাগল? বাটপারির একটা সীমা থাকা দরকার!’

তুষার লেখেন, ‘হাসপাতালে পেশেন্ট যখন আপনি ভর্তি করবেন তখন পিতা বা স্বামীর নাম না জানলে (মনে করেন রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা এমন কিছুতে যখন অচেনা অজানা লোকেরা হাসপাতালে যায়া ভর্তি করে দিয়ে আসে) তখন C/O লিখে যে ভর্তি করসে তার নাম লেখা হয়। এটা হাসপাতালে ভর্তি এক অতি সাধারণ রীতি। স্বামী/পিতার ক্ষেত্রে উপরে টিক চিহ্ন দেয়ার রেওয়াজ। এসব প্রতারণা ও বাটপারি বন্ধ করতে হবে।’