নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরই হামলার শিকার অধ্যক্ষ

রংপুর প্রতিনিধি
০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৩২
শেয়ার :
নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরই হামলার শিকার অধ্যক্ষ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরেই হামলা শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আজ শনিবার দুপুরে হামলার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক রাজ্জাকুর রহমানের দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়ে গত বুধবার রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসে তদন্তকালীন রাজ্জাকুর রহমানের নেতৃত্বে বহিরাগতরাসহ শিক্ষা অফিস প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ মাহেদুলকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় গত ৭ আগস্ট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরের দিনই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের সদরপুর নামক স্থানে রাজ্জাকুর রহমান ও রাতুলের নির্দেশে আব্দুল মমিন, রেজাউল করিম ও মাকসুদুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ মোটরসাইকেলের পথরোধ করে বেধড়ক মারধর করে তিনশত টাকার নন জুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন ও জমি বন্ধকের ৯৫ হাজার ৫শ টাকা ছিনতাই করে নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম বলেন, ‘সরকার পটপরিবর্তনের পরে আওয়ামী ট্যাগ দিয়ে আমাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে রাজ্জাক গং। তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করে মব সৃষ্টি করে ইউএনকে চাপ দিয়ে ইতোমধ্যেই সাময়িক সাসপেন্ড করে রেখেছে। আমি আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে ছিলাম না।প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি।’

জীবননাশের হুমকির পরে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরেই হামলার শিকার হয়েছেন জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার চাই।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাজ্জাকুর রহমান বলেন, ‘এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা কোনো হামলা করিনি।’

এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’