ব্রিটিশ রাজপরিবারে নতুন বিতর্ক /

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নতুন বইয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:১০
শেয়ার :
প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নতুন বইয়ে

ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিতর্কিত সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তার জীবনী নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে নতুন বই ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ দ্য হাউস অফ ইয়র্ক’। বইটিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে অহংকারী, স্বার্থপর ও যৌন অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন লেখক অ্যান্ড্রু লাউনি।

বিবিসি’র এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বইটি রাজপরিবারের দুটি প্রাচীন ও বিতর্কিত বিষয়- যৌন কেলেঙ্কারি ও অর্থ-কে ঘিরে নানা রকম তথ্য-প্রমাণ এবং ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে। লাউনি তার আগের বেস্টসেলার জীবনীগ্রন্থের মাধ্যমে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির সুনাম নষ্টের ক্ষেত্রে পরিচিত। এর আগে তিনি ডিউক অব উইন্ডসর (সাবেক এডওয়ার্ড অষ্টম) এর নাজি যুক্ত থাকার ঘটনা উন্মোচন করেছিলেন।

কিন্তু এই বইয়ে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সুনাম ধূলিসাৎ করার পাশাপাশি তাকে এমন এক অবস্থায় উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে তার পুনরুত্থান প্রায় অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। পাঠক ও সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন, এই বই প্রকাশের পর প্রিন্স অ্যান্ড্রুর রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান আরও দুর্বল হবে।

রাজপরিবারের এ বিতর্কিত সদস্যের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত এবং এ বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

৪৫০ পৃষ্ঠারও বেশি এই বিবরণটি গবেষণা করতে চার বছর সময় লেগেছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে শত শত সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যারা মনে করেন যে তারা এই গল্পের অনেক কিছুই আগে শুনেছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত এবং কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত, অপ্রয়োজনীয় বিবরণ এটিকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।

যেমন কৌতুকাভিনেতা বিলি কনলি এবং স্যার এলটন জন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর স্ট্যাগ নাইটে ছিলেন। অথবা চলচ্চিত্র নির্মাতা উডি অ্যালেন ম্যানহাটনে এপস্টাইনের বাড়িতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে একই ডিনারে ছিলেন।

এই বিবরণটি এই সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে অ্যালেন এপস্টাইনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। রাজপরিবারের সদস্যদেরও এপস্টাইনের একটি ডিনারে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রিন্স অ্যান্ড্রু, ডিউক অফ ইয়র্ক রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপের তৃতীয় সন্তান।

অ্যান্ড্রু জীবনের প্রথম ২২ বছর ধরে তার ভাগ্নে প্রিন্স উইলিয়ামের জন্মের আগ পর্যন্ত, ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারের সারিতে দ্বিতীয় ছিলেন। 

২০২২ সালে যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের কারণে তিনি রাজপরিবারের অনেক সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে আসতে বাধ্য হন।