ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান ফিলিস্তিনিদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৭
শেয়ার :
ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান ফিলিস্তিনিদের

ইসরায়েল সামরিকভাবে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর ফিলিস্তিনিরা এবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কার মুখে পড়েছেন। তীব্র ভয় ও প্রতিরোধের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। যেখানে বর্তমানে প্রায় দশ লাখ মানুষ ঘর হারিয়ে ভাঙা ভবন ও তাবুতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। তবে ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা।

শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা পরিকল্পনাটির অনুমোদন দেওয়ার পর শহরে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই বহুবার বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে নির্ধারিত “কনসেন্ট্রেশন জোনে” জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া হবে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির সরাসরি লঙ্ঘন। পরিস্থিতি ঘিরে গাজা সিটিতে নতুন করে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত আটবার পরিবারসহ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আহমেদ হির্জ। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি শপথ করে বলছি, আমি অন্তত একশোবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। তাই আমার জন্য এখানে মারা যাওয়াই ভালো।’

তিনি বলেন, ‘আমি কখনো এখান থেকে যাব না। আমরা কষ্ট, অনাহার, নির্যাতন আর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত-আমরা এখানেই মরব।’

এই মনোভাব আরও অনেকের মধ্যেই দেখা গেছে। রাজাব খাদার আল জাজিরাকে জানান, তিনি দক্ষিণ গাজায় যেতে রাজি নন, বরং রাস্তায় কুকুর আর অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে থেকেও এখানে থাকতে চান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই গাজা শহরে আমাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে থাকতে হবে। ইসরায়েলিরা আমাদের দেহ এবং আত্মা ছাড়া আর কিছুই পাবে না।’

উত্তর-পূর্ব বেইত হানুন থেকে পূর্বে বাস্তুচ্যুত হাওয়া মাঘজুজা সাদা বলেন, ‘দক্ষিণ নিরাপদ নয়। গাজা শহর নিরাপদ নয়, উত্তর নিরাপদ নয়। আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত?’ তিনি জিজ্ঞাসা করেন- ‘আমরা কি নিজেদের সমুদ্রে ফেলে দেব?’