চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩৭ দিনে মোংলা বন্দরে ৮০ জাহাজ নোঙর
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩৭ দিনে মোংলা বন্দরে মোট ৮০টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন আমদানি ও রপ্তানি পণ্য এবং ৫১৮টি যানবাহন পরিবহন করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার জাহাজ চলাচল বেড়েছে। এ সময় ৪ হাজার ৪৫৯টি টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং ৫১৮টি রিকন্ডিশনড যানবাহন কার ক্যারিয়ার থেকে খালাস করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অর্থবছরের প্রথম মাসে ৬৫টি বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে, ৬ আগস্টের মধ্যে অতিরিক্ত ১৫টি জাহাজ বন্দরে এসেছে। এই জাহাজগুলোর বেশিরভাগই পানামা, লাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম পতাকাবাহী।
লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি রুইয়ান ছাড়া বাকি সব জাহাজ লোডিং এবং আনলোডিং কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এম ভি রুইয়ান বর্তমানে জেটি নম্বর ৯-এ অবস্থান করছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির জন্য ২১ হাজার ৭০০ টন যন্ত্রপাতি আনলোড করার জন্য অপেক্ষা করছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য প্রবেশদ্বার হিসেবে মোংলা বন্দর জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয় এবং খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ, গুড় এবং এলপিজি গ্যাসসহ বিস্তৃত আমদানি পরিচালনা করে।
মোংলা বন্দর থেকে সাদা মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, মাটির টাইলস, সিল্ক কাপড় এবং সাধারণ পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। ২৮ জুলাই ২০২২ সাল থেকে মোংলা বন্দর থেকে পোশাক পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে এবং ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল থেকে হিমায়িত ফল আমদানি করছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০.৪১ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে মোংলা বন্দর৩৪৩.৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। বন্দরের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬২.১ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রা ২০.৫ কোটি টাকার চেয়ে ২০৩.৪৯ শতাংশ বেশি। একই সময়ে, মোংলা বন্দর থেকে ১১ হাজার ৫৭৯টি রিকন্ডিশনড যানবাহন আমদানি হয়েছে এবং মোট ২১ হাজার ৪৫৬টি টিইইউজ কনটেইনার পরিচালনা করেছে। যা তার ২০ হাজার টিইইউজ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। মোট পণ্যের পরিমাণ ১০.৪১২ মিলিয়ন টন, যা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৮.৮৮ মিলিয়ন টনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।