সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা, ১১ নারী আটক
দালাল চক্রের সঙ্গে চুক্তি করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে তেঁতুলিয়ায় এসেছিলেন ১১ জন বাংলাদেশি নারী। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার শুকানী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ আমজোয়ানী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন তারা। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ৫৬ বিজিবির অধীনস্থ শুকানী বিওপির একটি টহল দল সীমান্তের ৭৪২/১-এস পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করে। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আটকের তথ্যটি জানায় নীলফামারী ব্যাটালিয়নের ৫৬ বিজিবি। তাদেরকে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃত নারীরা হলেন- ফুলসুরাত (৬০), রোজিনা খাতুন (৩৫), সেলিনা বেগম (২৫), চুমকি খাতুন (২৫), হাসনা হেনা খাতুন (৩০), রোজিফা (৩২), মিনা খাতুন (২৪), বন্যা খাতুন (২৪), রুপা খানম (২৫), শাবানা বেপারী (২৭) ও সালেহা খাতুন (৪০)।
তাদের মধ্যে ফুলসুরাত যশোরের শার্শা উপজেলার বাইকুলা গ্রামের মৃত নুরালি বিশ্বাসের মেয়ে, রোজিনা খাতুন কোতয়ালীর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আঃ মান্নানের মেয়ে, সেলিনা বেগম অভয়নগর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের জালাল বিশ্বাসের মেয়ে, চুমকি খাতুন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জামিলডাঙ্গার মিরাজ খন্দকারের মেয়ে, একই এলাকার হাসনা হেনা খাতুন তাকরিজ আলীর মেয়ে, রোজিফা মাধবপুরের আনসার মুন্সীর মেয়ে, মিনা খাতুন লোহাগড়া উপজেলার চরকালনা গ্রামের দেলোয়ার মোল্লার মেয়ে, বন্যা খাতুন বেতগ্রাম গ্রামের মফিজ মোল্লার মেয়ে, রুপা খানম টুংগীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাঁশরিয়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে, শাবানা বেপারী মাদারীপুর জেলার জাজিরা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বাবুল বেপারীর মেয়ে এবং সালেহা খাতুন ফরিদপুর জেলার রাজর উপজেলার সোত্যপতি গ্রামের হাকিম তালুকদারের মেয়ে।
৫৬ বিজিবির নীলফামারী ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুকানী বিওপির দুটি দল সীমান্ত পিলার ৭৪২/১-এস এর কাছে আমজোয়ানী এলাকায় অভিযান চালায়। ভোর ৪টার দিকে তারা ওই ১১ নারীকে ভারতে প্রবেশের আগে আটক করে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয় সিভিল সোর্সের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে এলে বিজিবির টহল দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নারীরা জানায়, তারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মুম্বাই শহরে গৃহকর্মী এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন। ওই নারীরা একাধিক দালাল চক্রের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তারা দালালদের সঙ্গে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় আসেন। তাদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক নারীদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
