উল্লাপাড়া রেলওয়ে ওভারপাসে সন্ধ্যা নামলেই শুরু চুরি-ছিনতাই
উল্লাপাড়ায় এখন আলোচিত ছিনতাই স্থান রেলওয়ে ওভারপাস । সন্ধ্যা নামলেই চারিদিক অন্ধকার। আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় চুরি আর ছিনতাই। তবে, বরাদ্দ থাকলেও নির্মান কাজ শেষ হওয়ার এক বছর পার হলেও নেই কোনো আলোর ব্যবস্থা ।
উল্লাপাড়া রেলওয়ে ওভারপাসের উপর দিয়ে যানবাহ চলাচল শুরু থেকেই স্ট্রিট লাইট না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ঢেকে যায় ওভার পাসের চারিদিক।
স্থানীয়রা জানান, স্ট্রিট লাইট না থাকায় দুর্বৃত্তরা সহজেই ওভারপাসের উপর ছিনতাই এর টার্গেট নিচ্ছে এবং চুরি ও ছিনতাই করে সহজেই পালিয়ে যাচ্ছে এ অন্ধকারের সুযোগে ।
স্থানীয়রা আরও জানান, শুরু থেকেই ওভারপাসের দুই পাশে স্ট্রিট লাইটের খুটি গাড়া থাকলেও তাতে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়েই বরাদ্দ কৃত টাকা উত্তোলন করে সড়ক বিভাগের কাছে রেলওয়ে ওভারপাসটি বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন এক বছর আগে।
এ বিষয়ে ট্রাক চালক মজুন মিয়া, অটোভ্যান চালক কামাল হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর এই ওভার পাস পথ দিয়ে চলা খুবই ভয়ানক । অনেকেই মোবাইল, ব্যাগ বা টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন । অথচ যদি পর্যাপ্ত লাইট থাকত, তাহলে এমনটা হতো না। এছাড়াও লাইট না থাকার কারনে অন্ধকারে গাড়ি চালানোও কষ্ট ।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস সড়কসহ ওভার পাসটি নির্মানের কাজ পায় মেসার্স মঈন উদ্দিন বাঁশি লিঃ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান । তার কাছ থেকে সাব ঠিকাদার হিসেবে এরোষ্টকেট প্রোপাইটেজ লিমিটেড ওভারপাসের নির্মান কাজ করার দায়িত্ব প্রাপ্ত হয় । ২০১৯ সালের ১৬ মে নির্মান কাজ শুরু করে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা ৪ বার কাজের সময় বৃদ্ধি করে বাইপাস সড়কের কিছু কাজ বাদ রেখে ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে কাজ শেষ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন ।
এ বিষয়ে এরোষ্টকেট প্রোপাইটেজ লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘রেলওয়ে ওভার পাসটির সকল কাজ শেষ করে কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে যায়। ছুটি কাটিয়ে এসে দেখে ওভারপাসের লাইট জ্বালানোর সকল ইলেক্ট্রিনিক সরঞ্জামসহ তার চুরি হয়ে গেছে । পরবর্তীতে প্রায় ১২ লাখ টাকার তারসহ ইলেক্ট্রিক সকল মালামাল কিনে সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে লাইট জ্বালানো যাচ্ছে না। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালামাল কিনে দিয়েছে সেটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই ওভারপাসে লাইট জ্বালানো হবে।’