‘তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে’
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিও উন্নত হচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠছে এটি। এর ভালো-মন্দ দুই দিকের দেখা মেলে এখন নেটদুনিয়ায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে জটিল কাজ অনেকেই শেষ করছেন চোখের পলকে। আবার কেউ এটি ব্যবহার করে মানুষকে ফেলছেন বিপাকে। এবার সেই কথাই উঠে এলো জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর লেখায়।
আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রযুক্ত আজ আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অনেকেই এর ভালো দিকগুলো নিয়ে আশাবাদী, কিন্তু এর অন্ধকার দিকটা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এআই এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি। কিন্তু এটা যখন ভুল মানুষের হাতে পড়ে, তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এখন এআই ব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের বা নারীদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করছে। এগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে, আর যারা বুঝতে পারে না এগুলো ভুয়া, তারা বিশ্বাস করে, মন্তব্য করে, অপমান করে।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এআই’র অপব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এমন মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে, যারা সারাদিন ধরে শুধুই এসব করে বেড়ায়। তারা ভুল তথ্য ছড়ায়, বিভ্রান্তি তৈরি করে, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এটা শুধু অনৈতিক না, এটা একেবারে অপরাধ। এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে ডিজিটাল সহিংসতা বলা যায়। এআই থামানো যাবে না, কিন্তু এর অপব্যবহার রোধ করা দরকার। আমাদের দরকার কঠোর আইন, শক্ত প্রতিরোধ, আর জনসচেতনতা। যারা এসব করে, তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
সবশেষে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের দেশে দ্রুত এমন নিয়ম কানুন ও শাস্তির ব্যবস্থা হবে, যা সবাই- বিশেষ করে নারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করবে।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট