চাঁদাবাজির মামলায় দোষ স্বীকার করলেন অপু
সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম তার এ জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান আজ অপুকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করার আবেদন করেন।
এর আগে গত ৩ আগস্ট চার দিনের রিমান্ড শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। একইদিন সাত দিনের রিমান্ড শেষে তার তিন সহযোগী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদমান সাদাবকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০ টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণাংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন।
এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় স্বজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানালে আসামিরা চলে যায়। পরে গত ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামি রিয়াদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করে এবং ওই সময় জানে আলম অপু দৌড়ে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি