যে কারণে আন্দোলনে নামতে চায় জামায়াত

অনলাইন ডেস্ক
০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৫৬
শেয়ার :
যে কারণে আন্দোলনে নামতে চায় জামায়াত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংখানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে আজ বুধবার জামায়াতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনই জাতির আকাঙ্ক্ষা। তবে পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পিআর আমাদের দাবি। আমাদের দাবির ব্যাপারে আন্দোলন করব। পরবর্তীতে কী হয়, সেটি দেখার বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি পিআর পদ্ধতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাইলফলক। ৫৪ বছরের আগের ট্র্যাডিশনাল নির্বাচন দেশের জন্য উপযোগী নয়। রাতে ভোট, কেন্দ্র দখল এগুলো আগের ঐতিহ্য। সেজন্য আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন দ্রুত সম্পন্ন করে অধ্যাদেশ, এলএফও বা গণভোট এর মাধ্যমে আইনি ভিত্তি প্রদান করা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে। তাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনী ও সংস্থার কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে স্বৈরাচারের দোসরদের মুক্ত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের সকল স্তরে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, ‘বাংলাদেশের আপামর জনতা জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যে প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল তা পূরণ না হওয়ায় জনগণের মাঝে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে নতুনভাবে উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে তা জাতির কাছে অস্পষ্ট। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, অনতিবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে উপরে উল্লেখিত জনআকাক্সক্ষার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’