গাংনী থানার অদূরে বোমা ফাটিয়ে গণডাকাতি
মেহেরপুরের গাংনী থানার অদূরে বোমা ফাটিয়ে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় থানা ভবনের হাফ কিলোমিটারের মধ্যে ধানখোলা সড়কে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দল অন্তত ২০ জন নারী-পুরুষকে জিম্মি করে বোমা ফাটিয়ে নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ও মোবাইল নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, থানা ভবনের পাশেই ধানখোলা সড়ক এই সড়কে কিছুদিন আগে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকাতি প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে মঙ্গলবার রাতে বোমা ফাটিয়ে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সন্ধ্যার পর গাংনী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আতঙ্ক থাকে। আতঙ্ক ও জীবনে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলতে হয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি না হলে আবারও যেকোনো সময় ছিনতাই কিংবা ডাকাতের ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গাংনী পৌরসভাধীন থানা থেকে ধানখোলা যাওয়ার রাস্তায় বিল্লালের নার্সারির সামনে ৭/৮ জন ডাকাত সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৩টি ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ইয়াসির বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে আনুমানিক লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাতরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভুক্তভোগীদের বাড়ি ধানখোলা মহিষাখোলা ও আড়পাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমরা গাংনী থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম এই সময় ডাকাত সদস্যরা আমার পথরোধ করে কাছে থাকা মোবাইল, টাকা ছিনিয়ে নেয়।তাদের সঙ্গে দুটি কথা বললেই মাইর। ১৫ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে তারা মোবাইল টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এর মধ্যে নারীও ছিল। তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল। তাদের প্রত্যেকের বয়স আনুমানিক ২৫ এর মধ্যে।’
আরেক ভুক্তভোগী মিন্টু হোসেন বলেন, ‘গাংনী থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় গাংনীর ধানখোলা সড়কের বিল্লাল নার্সারির কাছে পৌঁছালে ডাকাত সদস্যরা গতিরোধ করে। এ সময় আমার কাছে থাকা ৭ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সে সময় আরও অনেকের কাছ থেকেও তারা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আনুমানিক ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত দলের সদস্যরা ছিল। এসব ছিনিয়ে নেওয়ার পর বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা চলে যায়।’
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ডাকাতির খবর শুনেই রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ডাকাতদের চিহ্নিত করতে মাঠে কাজ করছে।