হার্টের ‘রিং’-এর দাম কমল

অনলাইন ডেস্ক
০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৪৬
শেয়ার :
হার্টের ‘রিং’-এর দাম কমল

হার্ট ব্লকের চিকিৎসায় হার্টে বসানো স্টেন্ট বা রিংয়ের দাম কমিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কয়েকটি স্টেন্টে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস করে নতুন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওষুধ প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের যুক্তিসঙ্গত মুনাফা এবং ভ্যাট-শুল্ক ইত্যাদি বিবেচনায় তিনটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি— অ্যাবট, বোস্টন সায়েন্টিফিক ও মেডট্রনিকের আমদানি করা স্টেন্টগুলোর দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন তালিকা অনুযায়ী, মেডট্রনিক কোম্পানির ‘রিজলিউট অনিক্স’ স্টেন্টের আগের দাম ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, যা কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোস্টন সায়েন্টিফিক কোম্পানির ‘প্রোমাস এলিট’ স্টেন্ট আগে ৭৯ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই কোম্পানির ‘প্রোমাস প্রিমিয়ার ’ স্টেন্টের দাম ৭৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 সিনার্জি সিরিজের তিনটি স্টেন্টের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে ‘সিনার্জি এক্সডি’ স্টেন্টে। এ স্টেন্টের আগে দাম ছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এখন এ স্টেন্ট পাওয়া যাবে ১ লাখ টাকায়।

অন্যদিকে ‘সিনার্জি’ ও ‘সিনার্জি শিল্ড’ স্টেন্ট দুটির দাম কমিয়ে যথাক্রমে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ও ১ লাভ ২০ হাজার টাকা।

অ্যাবট কোম্পানির ‘জায়েন্স প্রাইম’ স্টেন্টের দাম ছিল ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা, যা কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘জায়েন্স এক্সপেডিশন’ স্টেন্টের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি, এটি আগের দামে অর্থাৎ ৭১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হবে। ‘জায়েন্স আলপাইন’ এবং ‘জায়েন্স সিয়েরা’ স্টেন্ট দুটির দাম ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ ও ১ লাখ ৪০ হাজার। এ দুটি স্টেন্টের দাম কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মেডট্রনিক কোম্পানির আরেকটি স্টেন্ট ‘অনিক্স ট্রুকর’ আগে বিক্রি হতো ৭২ হাজার ৫০০ টাকায়। এখন সেটি পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকায়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অনুমোদিত দাম সংক্রান্ত তালিকা হাসপাতালে দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখা এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্টেন্টের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫ শতাংশের বেশি আদায় না করতে এবং নির্ধারিত দামের বাইরে কোনো কার্ডিওভাসকুলার বা নিউরো ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস কিনতে না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।