আদালতে দোষ স্বীকার করলেন রিয়াদ

আদালত প্রতিবেদক
০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯:২৮
শেয়ার :
আদালতে দোষ স্বীকার করলেন রিয়াদ

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৩ নেতাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার মো. সেফাতুল্লাহর আদালত জবানবন্দী রেকর্ড করেন। আর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ রিয়াদ আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া ৭ দিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। গ্রেপ্তারের পর সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ২৬ জুলাই রাতে চাঁদাবাজির সময় ওই বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।চাঁদাবাজির ঘটনায় শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ছয় জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণাংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন।

এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় স্বজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়। পরে ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামি রিয়াদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ জনকে হাতেনাতে আটক করে এবং ওই সময় এজাহারনামীয় আসামি জানে আলম অপু দৌড়ে পালিয়ে যান।