হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস একটি কথাও বলেননি: হাফিজ উদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক
০২ আগস্ট ২০২৫, ২০:৫১
শেয়ার :
হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস একটি কথাও বলেননি: হাফিজ উদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘এখন যারা উপদেষ্টা (অন্তর্বর্তী সরকারের) রয়েছেন, তাদের কেউ গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার অত্যাচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। একমাত্র আসিফ নজরুল মাঝে মাঝে দু-চারটি কথা বলেছেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ বরেণ্য ব্যক্তি, আমরা সকলে তাকে শ্রদ্ধা করি, তিনি হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একটি কথা কখনো বলেন নাই।’

 আজ শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আলোচনা সভা ও শহিদ পরিবারবর্গকে সম্মাননা’শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে  আইইবি।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়ার প্রধান কারণ অভ্যুত্থানের পর যে সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, তারা শহিদদের চেতনাকে ধারণ করে না। দুর্ভাগ্য আমাদের, এই দেশ বীরদের ধারণ করতে পারে না।’

 তিনি বলেন, ‘সব সময়ই বিপ্লবে যারা জীবন দেন, বিজয়ের পরে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না। বারবার জীবন দেয় সাধারণ মানুষ, আর এর ফল ভোগ করে একশ্রেণির কুটিল রাজনীতিবিদেরা। কোত্থেকে তারা উড়ে এসে সকল কৃতিত্ব দাবি করে, জনগণকে নসিহত করা শুরু করে। তারা বারবার জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যেতে চায়।’

জুলাই গণআন্দোলনের পটভূমি বিএনপি নির্মাণ করেছে দাবি করে দলের স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারণ করেনি, তারা এখন পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত। তারাই এখন জাতিকে সবক দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কি পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে হবে নাকি আসনের পদ্ধতিতে হবে, এটির জন্য মানুষ জীবন দেয়নি। মানুষ জীবন দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন দেওয়া।’

 হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যারা মহারথী একবার ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেছে, তারা এখন আর যেতে চায় না। এখন শুধু ঘুরায় আর প্যাঁচায়। সংস্কার তো একটা দরকার, সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো ইতিহাসে নাই অনির্বাচিত ব্যক্তিরা সংবিধান সংশোধন করে। এখানে সেটাই প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। জনগণ ও সংসদের সম্মতি ছাড়া কীভাবে এরা সংবিধান সংশোধন করতে চায়। সংবিধানকে আমরা রক্ত দিয়ে ’৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছি; সেটিকে তারা ছুড়ে ফেলে দিতে চায়।’