বিয়ের ৩ দিন পর নববধূকে অপহরণ, ১৮ দিন পর উদ্ধার
বরিশালের মুলাদীতে এক নববধূকে অপহরণ করে আটকে রেধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের ১৮দিন পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ১৩ জুলাই চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার এলাকা থেকে ওই নববধূকে অপহরণ করা হয়েছিল।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বিভিন্ন সময় প্রেমসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের করিম সরদারের ছেলে শরীফ হোসেন ও তার সহযোগীরা তাদের মেয়েকে অপহরণ করেছিল। মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তারা দ্রুত মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পরই সহযোগীদের নিয়ে মেয়েকে অপরহণ করে ধর্ষণ করে তারা।
ওই নববধূর মা জানান, বিয়ের আগে থেকেই শরীফ প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়ের সম্মতি নিয়ে গত ১০ জুন বিয়ে দেন। বিয়ের পরও কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল শরীফ। গত ১৩ জুলাই বিকালে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরীফ ও তার সহযোগীরা জোর করে ওই নববধূকে তুলে নেয়। ওই সময় নববধুর সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় তারা। পরে শরীফ ওই দিন রাতেই জোর করে নববধূকে বিয়ের চেষ্টা করেন। বিয়েতে রাজী না হওয়ায় শরীফ ১৮দিন তাদের বাড়িসহ বিভিন্নস্থানে আটকে রেধে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর পরই শরীফ অপহৃত নববধূর সঙ্গে বিয়ের নাটকের একটি ভিডিও তৈরি করে জনৈক যুবকের কাছে পাঠান। ওই যুবক বিষয়টি নববধূর বাবা-মাকে জানালে তারা অপহরণের বিষয়টি জানতে পারেন।
এ ঘটনায় গত ১৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে শরীফ, তার বাবা করিম সরদার, মা মেলেনী বেগম, ভাই আরিফ সরদারসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার সূত্রে মুলাদী থানার এএসআই মনির হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চরমালিয়া এলাকা থেকে নববধূকে উদ্ধার করেন। এ সময় শরীফ, তার বাবা-মা ও সহযোগীরা পালিয়ে যান বলে জানায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অপহৃত নববধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তার এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’