স্ত্রীকে খুন করে শিশু নিয়ে থানায় হাজির স্বামী

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
০১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৭
শেয়ার :
স্ত্রীকে খুন করে শিশু নিয়ে থানায় হাজির স্বামী

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী সালমা আক্তারকে (৩২) খুন করে শিশু সন্তান সারফারাজকে নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)। 

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্বামী সরোয়ার বাউফল থানায় হাজির হয়ে খুনের দায় স্বীকার করলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।

জানা গেছে, নিহত ছালমা উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত স্বামী সরোয়ার হোসেন একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসায় চাকরির সুবাধে সালমা আক্তার ও তার স্বামী সরোয়ার হোসেন একমাত্র সন্তান নিয়ে উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামে মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বেশ কিছু দিন ধরেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত বুধবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক কলহ হয়। কলহের জেরে স্বামী সরোয়ার ঘরে থাকা ধারাল দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান সালমা আক্তার।

হত্যাকাণ্ডের পর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। পরে বিবেকের তাড়নায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।

বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরোয়ার হোসেন থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। শিশুটিকে পরিবারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করব।’  

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার জানিয়েছেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’