বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ
নতুন কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বেনাপোল কাস্টম হাউসে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন থেকে শুধুমাত্র কাস্টমস সরকার পারমিট কার্ডধারীরাই কাস্টমস হাউসে প্রবেশ করতে পারছেন।
এর আগে খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেনকে গত মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৯টার আগেই কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। আগে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকা বা দেরিতে আসার অভিযোগ থাকলেও এখন তা অনেক কমেছে।
সিএন্ডএফ কর্মচারী আলীম হোসেন জানান, যার যেই কার্ড আছে, সেই কাস্টম হাউসে প্রবেশ করতে পারবেন। আর এটাই হওয়া উচিত ছিল। এখন পরিবেশ অনেক ভালো লাগছে।
কাস্টমস সুত্রে জানা যায়, নতুন করে কাস্টমস সরকার পারমিট কার্ড ইস্যু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে এবং ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মহসিন মিলন বলেন, ‘কার্ড ছাড়া কেউ ঢুকতে পারছেন না। এটা ভালো সিদ্ধান্ত। নতুন কমিশনানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে অনেকদিন ধরে নতুন কাস্টমস সরকার পারমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। এখন দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে কার্ড দেওয়া প্রয়োজন। এতে যোগ্যরাই কার্ড পাবেন।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘নতুন কমিশনারের নেতৃত্বে বেনাপোল কাস্টম হাউসে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা ফিরছে, যা কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা বেগম জানান, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিশনারের আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কাস্টম হাউসের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্টসহ সকল সংশ্লিষ্টদের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পুরাতন পরিচয় পত্র যার যা আছে, তাই-ই নিয়েই প্রবেশ করতে হচ্ছে।
সেই সঙ্গে কাস্টম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন পরিচয় পত্র তৈরি এবং সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের নতুন করে কাস্টমস সরকার পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও জানান তিনি।