বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১নং ইউনিট বন্ধ হয়ে গেল
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১০ দিন আগে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এবার চালু থাকা ১নং ইউনিটটির বয়লারের পাইপ ফেটে বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘বুধবার রাত পৌনে ৮টা থেকে তৃতীয় ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত সোমবার, ২১ জুলাই ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এটি চালু হওয়ার ফলে উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমে আসবে।’
জানা গেছে, গত সোমবার, ২১ জুলাই ভোরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩নং ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। একই দিন বেলা ১টার দিকে ওই কেন্দ্রের ১নং ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট ১নং ইউনিটটি চালু হয়। ১২৫ মেগাওয়াটের ১নং ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। ১নং ইউনিটটি সচল রাখতে দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা দরকার পড়ে।
অপরদিকে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ৮ মাস ধরে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২নং ইউনিটি বন্ধ রয়েছে। ২নং ইউনিট দিয়ে প্রতিদিন ৬৫/৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো।
এদিকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে তৃতীয় ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরলেও এইদিন সকালে বয়লারের পাইপ ফেটে ১নং ইউনিটটি বন্ধ হয়ে গেছে। এটি চালু হতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ২৩ জুন থেকে খনির ১৩০৫ ফেইজের মজুত শেষ হওয়ায় বর্তমানে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। খনির ১৪০৬ নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে। আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে আশা করছেন খনি কর্তৃপক্ষ।
