তিস্তার পানি বেড়ে লালমনিরহাটের ১৫ গ্রাম প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ পানি বাড়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। রাতেই তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টায় নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পৌঁছে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সকল জলকপাট খুলে দেওয়া হয়।
তবে আজ বুধবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে আবার বিপৎসীমার লেভেল পয়েন্টে (৫২ সেন্টিমিটার) ফিরে এসেছে।
পানি কিছুটা কমলেও ইতোমধ্যে ব্যারাজের ভাটির দিকে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, সিন্দুরনা, পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী অন্তত ১৫টি গ্রামের ৫ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, ডুবে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ধুবনী এলাকায় একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে পানি কিছুটা কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্তর স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে, এরপর তা কমে আসবে।’