নির্বাচনের আগে দুই কাজ করতে বললেন চরমোনাই পীর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২৯ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৪
শেয়ার :
নির্বাচনের আগে দুই কাজ করতে বললেন চরমোনাই পীর

প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্তরে এক গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় গণসমাবেশের মঞ্চে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। এই বাংলাদেশ ৭১ এ স্বাধীন করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের জীবনকে হারিয়েছিল, পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, যে আশা লক্ষ উদ্যেশ্য নিয়ে। সেটি ছিল মূলত তিনটা স্লোগানের মাধ্যমে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবিক মর্যাদা। কিন্তু ৭১ পরবর্তী যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের থেকে আমরা চোরের দিক থেকে তামাম দুনিয়ায় পাঁচবার প্রথম হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদে যখন আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তানগুলো বৈষম্যবিরোধী আওয়াজ তুলেছে তখন আমরা দেখেছি তাদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় পাখিরমত গুলি করে রাস্তায় লুটিয়ে ফেলা হলো। আপনারা দেখেছেন মা চিৎকার করে কাঁদছে আর বারবার বলছেন আজকে কয়দিন পর্যন্ত আমার সন্তান আমাকে মা মা বলে ডাকছে না। সেই শব্দ এখনো আমাদের কানে ভাঁসছে।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘যারা এর আগে রাষ্ট্রপরিচালনা করেছে, তারা পরিক্ষিত। তারা আবার মসনদে বসে নতুনভাবে কি সুন্দর দেশ উপহার দেবে তা আমাদের বুঝতে আর বাকি নেই। নিজেরা চাঁদার ভাগ বন্টন নিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে খুন করেছে। পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আজ ইসলামী দলগুলো সব এক কাতারে এসেছে। দেশপ্রেমিক অনেকেই আছে।’

এ সময় তিনি ঝিনাইদহ ৩ আসনে মাওলানা সরোয়ার হোসেন ও ঝিনাইদহ ৪ আসনে মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল জলিলকে পরিচয় করিয়ে দেন।

বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে এবং টাকা পাচারকারী ও খুনিদের, গুমকারীদের, জালিমদের, বদমায়েশদের ও গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।’

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ও ঝিনাইদহ ২ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা.এইচ এম মোমতাজুল করীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নায়েবে আমির অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আওয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোইব হোসেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি আহমাদ আব্দুল জলিল।

সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন মাস্টার শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মুফতি মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন, মুফতি মোহাম্মাদ আলী হুসাইন, মাওলানা হাসানুর রহমান এজাজী, মাওলানা কামাল উদ্দিন আল মাহমুদ, প্রভাষক আশরাফ আলী ফারুকী, মাওলানা এনামুল হক ফয়েজি, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন খান, আলহাজ্ব রায়হান উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিকী, মাও: নিজাম উদ্দিন মুন্সি, সাইফুর রহমান বাদল, মাওলানা গাজি ইয়াসিন আলী, ফারুক হোসেন, মুফতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, এইচএম নাঈম মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন রাহাতসহ আরও অনেকে।