অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রেপ্তার

টেকনাফ প্রতিনিধি
২৯ জুলাই ২০২৫, ২০:৫৩
শেয়ার :
অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রেপ্তার

২১ মামলার পলাতক আসামি টেকনাফের রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী শফি ডাকাতকে বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। আজ মঙ্গলবার বিকেলে র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার শফি (২৮) কক্সবাজারের টেকনাফ ২৬ নম্বর নয়াপাড়া মুছনি রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

কামরুল হাসান বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শফিকে ধরতে দীর্ঘ এক মাস ধরে গোপনে নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পাশে হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত শফি ও তার সহযোগীরা অবস্থান করছেন। এমন সংবাদে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গতকাল সোমবার রাতে পাহাড়ে অভিযানে গেলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে শফি ডাকাতকে আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগীরা শফি ডাকাতকে ছিনিয়ে নিতে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি চালায়, তাৎক্ষণিক র‌্যাব সদস্যরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। শফি ডাকাতকে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, পাহাড়ি আস্তানা থেকে ডাকাত শফির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে ১টি ওয়ান শুটার গান, ২ টি একনলা বন্দুক, ১ টি এলজি, ১০ টি এন্টি পারসোনাল মাইন, ১০ টি ডেটোনেটর, ৫০ টি তাজা রাইফেলের গুলি, ৫৩ টি রাইফেলের খালি কার্তুজ, ৬ টি শর্ট গানের খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিষ্টাল মেথ (আইস), ৩টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ডাকাত শফির নামে ২টি হত্যা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ৬ টি অস্ত্র, ৬টি মারামারিসহ মোট ২১ টি মামলা রয়েছে। শফি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। তার নেতৃত্বে ডাকাত দল ক্যাম্প এলাকার রোহিঙ্গা ও বাঙালিদের জিম্মি করে রাখত এবং পাহাড়ি অঞ্চলজুড়ে একটি ত্রাসের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে।’

ক্যাম্পের ভোক্তভোগী এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘শফি ডাকাত ছিল ক্যাম্পে একজন জল্লাদের মত ডাকাত সর্দার। তার জন্য ক্যাম্পে রাতে ভয়ে ঘুমাইতে পারে না। তার নেতৃত্বে ক্যাম্পে অপহরণ,ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে থাকতে হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বস্থির ফিরেছে। র‍্যাব-১৫ কে ধন্যবাদ জানাই শফির মত অন্যান্য ডাকাত দলের প্রধানদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’