শামীম স্যারকে নিয়ে যা বললেন কনা
অভিনয়ের ভুবনে আসার আগে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোশাররফ করিম- এটি প্রায় সবার জানা। ই-হক কোচিং সেন্টারের নাখালপাড়া শাখায় পড়াতেন তিনি। মোশাররফ করিমের ডাক নাম শামীম। অনেকেই তাকে শামীম ভাইয়া বলেও ডাকতেন। সব ছাত্রছাত্রীরাই ছিলেন তার পড়ার খুব ভক্ত। তেমনই একজন শিক্ষার্থী কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা।
সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতিচারণ করেন কনা। জানান, দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় ই-হক কোচিংয়ে ভর্তি হন কনা। সেখানেই অভিনেতা মোশাররফ করিমকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন এই গায়িকা।
কনার ভাষ্য, ‘আমরা কখনও ভাবিনি উনি এত বড় অভিনেতা হবেন। উনি খুবই ভালো একজন স্যার ছিলেন। বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেন তিনি।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
শিক্ষক মোশাররফ করিমের বিষয়ে কনা আরও বলেন, ‘আমি শুরুতে খুব একটা প্রিয় ছিলাম না। কারণ আমি পড়ালেখায় খুব একটা ভালো না। ম্যাক্সিমাম সময় বকাবকির ওপরে থাকতাম। একদিন আমি ক্লাস মিস করলাম, অফিসে আমাকে ডেকে মোশাররফ ভাইয়া আড় চোখে তাকিয়ে বলল- “তুমি কাল আসো নাই কেন?”, আমি বললাম- কাল বাংলা একাডেমিতে আমার একটা প্রতিযোগিতা ছিল এ জন্য আসতে পারিনি সরি।’
যোগ করে কনা আরও বলেন, ‘কিসের প্রতিযোগিতা এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলার পর গান শুনতে চাইলেন, কী গান করেছি। এরপর ভয়ে তো দাঁড়িয়ে আছি, চোখ বন্ধ করে গাইলাম “খোল খোল খোল বধূয়া” গানটি। এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “খুব ভালো গাইছ, যাও”। এরপর থেকে পুরো কোচিংয়ে আমার টিট্রমেন্ট ভিন্ন হয়ে গেল। ৮টার ক্লাস থাকলেও ৯টায় গেলেও ভাইয়া বলত, “হুম, সামনের বেঞ্চে বসো। আজকের ক্লাস ভক্তিমূলক গান দিয়ে শুরু করলে কেমন হয়?”’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
মোশাররফ করিম ও কনা দু’জনেই এখন শোবিজের বাসিন্দা। প্রায়ই অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে যায় তাদের। বর্তমান সময়ে দেখা হলে কী পরিস্থিতি হয় সেটা কনা বললেন এভাবে, ‘এখন যখন শামীম ভাইয়ের (মোশাররফ করিম) সঙ্গে দেখা হয়, তখন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি। মাথায় হাত দিয়ে বলবে, “কনা না? কত বড় হয়ে গেছ তুমি, এত বড় স্টার হয়ে গেছ!” এমন একটা ভাব করে মনে হয় উনার চেয়ে বড় স্টার আমি।’