ভান্ডারিয়ার জোড়া খুনের আসামি মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

পিরোজপুর প্রতিনিধি
২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৩
শেয়ার :
ভান্ডারিয়ার জোড়া খুনের আসামি মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি জামাতা বাদল খানকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১০ এর একটি দল।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১০ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা বাদল খান মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পালিয়ে ছিলেন। 

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে তাকে ভান্ডারিয়া থানায় আনা হয়েছে এবং আজ রবিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৫ মে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে বাদল তার স্ত্রী চম্পা বেগম (৩২) এবং শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে (৫০) গলাকেটে হত্যা করেন। হত্যার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য মরদেহে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান বাদল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ধাওয়া বাজারের মুদি দোকানী বাদল খানের সঙ্গে তার চাচাতো বোন চম্পা বেগমের হত্যাকাণ্ডের মাত্র ২০ দিন পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন বাদল। চম্পাকে বিবাহের আগেও বাদল আরও ৩টি বিয়ে করেছিলেন। তার নির্যাতনে শিকার হয়ে আগের ৩ স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। গত ৫ মে রাত আনুমানিক রাত ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী চম্পা বেগম ও বৃদ্ধ শাশুড়ি বিলকিস জাহানকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে মরদেহে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। এ সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন (১০) ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ সময় ঘাতক বাদল পালিয়ে যান। 

দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।